エピソード

  • অধ্যায় ১৩: মহারাজ নিমির বংশ
    2024/12/21

    ভগবত পুরাণের নবম স্কন্ধের ১৩তম অধ্যায়ে মহারাজ নিমির কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। মহারাজ নিমি ছিলেন মিথিলার রাজা এবং তিনি ছিলেন অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ ও প্রজাবৎসল। এই অধ্যায়ে নিমির রাজত্ব, তার ধর্মনিষ্ঠা এবং তার জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। মহারাজ নিমি ছিলেন অত্যন্ত ধর্মনিষ্ঠ এবং প্রজাবৎসল রাজা। তিনি সর্বদা ধর্মের পথে চলতেন এবং তার রাজ্যে ধর্মের প্রতিষ্ঠা ও প্রসার ঘটানোর জন্য নিরলস পরিশ্রম করতেন। নিমি রাজা হিসেবে তার প্রজাদের প্রতি অত্যন্ত যত্নবান ছিলেন এবং তাদের কল্যাণের জন্য সবসময় সচেষ্ট থাকতেন। তিনি বিভিন্ন যজ্ঞ ও পূজা আয়োজন করতেন এবং ঋষি-মুনিদের সঙ্গ লাভ করতেন। তার ধর্মনিষ্ঠা ও প্রজাবৎসলতার জন্য তিনি প্রজাদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। মহারাজ নিমির এই ধর্মনিষ্ঠা ও প্রজাবৎসলতা তার রাজত্বকে শান্তি ও সমৃদ্ধিতে পূর্ণ করেছিল।

    মহারাজ নিমির জীবনে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা রয়েছে যা তার ধর্মনিষ্ঠা ও প্রজাবৎসলতার পরিচয় বহন করে। এখানে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা উল্লেখ করা হলো: যজ্ঞ আয়োজন: মহারাজ নিমি একবার একটি বৃহৎ যজ্ঞ আয়োজন করেছিলেন। এই যজ্ঞে অংশগ্রহণের জন্য তিনি ঋষি বশিষ্ঠকে আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু ঋষি বশিষ্ঠ তখন ইন্দ্রের যজ্ঞে ব্যস্ত ছিলেন এবং নিমির যজ্ঞে উপস্থিত হতে দেরি করেন। এই কারণে নিমি নিজেই যজ্ঞ শুরু করেন। ঋষি বশিষ্ঠের অভিশাপ: ঋষি বশিষ্ঠ যখন নিমির যজ্ঞে পৌঁছান, তখন তিনি নিমিকে অভিশাপ দেন যে, নিমির শরীর ধ্বংস হবে। নিমি পাল্টা অভিশাপ দেন যে, ঋষি বশিষ্ঠের শরীরও ধ্বংস হবে। এই অভিশাপের ফলে উভয়ের শরীর ধ্বংস হয়। নিমির পুনর্জন্ম: নিমির প্রজারা তার অভাব সহ্য করতে না পেরে দেবতাদের কাছে প্রার্থনা করেন। দেবতারা নিমির শরীরকে পুনরায় জীবিত করেন, কিন্তু নিমি শরীর গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। তিনি বায়ুরূপে থেকে প্রজাদের সেবা করতে চান। এই কারণে নিমির প্রজারা তাকে “বিদেহ” নামে অভিহিত করেন, যার অর্থ “শরীরহীন”। মহারাজ নিমির এই ঘটনাগুলি তার ধর্মনিষ্ঠা, প্রজাবৎসলতা এবং আত্মত্যাগের পরিচয় বহন করে।

    続きを読む 一部表示
    6 分
  • অধ্যায় ১২: শ্রীরামচন্দ্রের পুত্র কুশের বংশাবলী
    2024/12/14

    শ্রীমদ্ভাগবতম নবম স্কন্ধ, অধ্যায় ১২-এর সংক্ষিপ্তসার: এই অধ্যায়ে রাজা রামচন্দ্রের বংশধরদের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। রামচন্দ্রের পুত্র কুশ এবং লব-এর বংশধরদের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এই অধ্যায়ে বিভিন্ন রাজাদের শাসনকাল, তাঁদের কীর্তি এবং তাঁদের বংশধরদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও, এই অধ্যায়ে বিভিন্ন রাজাদের ধর্মনিষ্ঠা, শৌর্য এবং প্রজাদের প্রতি তাঁদের ভালোবাসার কথা বর্ণিত হয়েছে।

    続きを読む 一部表示
    3 分
  • অধ্যায় ১১: শ্রীরামচন্দ্রের পৃথিবী শাসন
    2024/12/14

    শ্রীমদ্ভাগবতম নবম স্কন্ধ, অধ্যায় ১১-এর সংক্ষিপ্তসার: এই অধ্যায়ে রাজা রামচন্দ্রের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। রাজা রামচন্দ্র তাঁর পিতার আদেশে বনবাসে যান এবং সেখানে তিনি রাক্ষস রাবণকে বধ করেন। রাবণ বধের পর, রামচন্দ্র অযোধ্যায় ফিরে আসেন এবং রাজ্যাভিষেক করেন। এই অধ্যায়ে রামচন্দ্রের ধর্মনিষ্ঠা, শৌর্য এবং ভক্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও, তাঁর শাসনকালের সুবিচার ও প্রজাদের প্রতি তাঁর ভালোবাসার কথা বর্ণিত হয়েছে। এই অধ্যায়টি রামচন্দ্রের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলি তুলে ধরে এবং তাঁর আদর্শ জীবনযাপনের শিক্ষা দেয়।

    続きを読む 一部表示
    9 分
  • অধ্যায় ১০: ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের লীলা
    2024/12/06

    শ্রীমদ্ভাগবতের নবম স্কন্ধ দশম অধ্যায়ে শ্রী রামচন্দ্রের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। এই অধ্যায়ে রামচন্দ্রের জন্ম, তাঁর রাজ্যাভিষেক, বনবাস, সীতা হরণ এবং রাবণ বধের কাহিনী সংক্ষেপে বর্ণিত হয়েছে।

    রামচন্দ্র অযোধ্যার রাজা দশরথের পুত্র। কৈকেয়ী, দশরথের এক রাণী, তাঁর পুত্র ভরতের জন্য রাজ্য চেয়েছিলেন এবং রামকে চৌদ্দ বছরের জন্য বনবাসে পাঠানোর দাবি করেন। রামচন্দ্র তাঁর পিতার আদেশ মেনে সীতা ও লক্ষ্মণকে নিয়ে বনবাসে যান। বনবাসের সময়, রাক্ষস রাবণ সীতাকে হরণ করেন। রামচন্দ্র, হনুমান ও বানর সেনার সাহায্যে রাবণকে পরাজিত করে সীতাকে উদ্ধার করেন এবং অযোধ্যায় ফিরে আসেন।

    এই কাহিনী শ্রীমদ্ভাগবতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা রামচন্দ্রের ধর্ম, ন্যায় ও কর্তব্যের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরে।

    続きを読む 一部表示
    16 分
  • অধ্যায় ০৯: গঙ্গার মর্ত্যে আগমন
    2024/12/02

    ভগীরথের গঙ্গা আনয়নের কাহিনীটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ। ভগীরথ ছিলেন ইক্ষ্বাকু রাজবংশের একজন কিংবদন্তি রাজা। তার ষাট হাজার পূর্বপুরুষ কপিল মুনির অভিশাপে ভস্মীভূত হন এবং তাদের মুক্তির জন্য ভগীরথ গঙ্গাকে মর্ত্যে আনয়নের সংকল্প করেন।


    ভগীরথ কঠোর তপস্যা করে দেবী গঙ্গাকে সন্তুষ্ট করেন। গঙ্গা দেবী তাকে জানান যে, তার প্রপাতের প্রচণ্ড বেগ মর্ত্যে ধ্বংস ডেকে আনবে। তখন ভগীরথ ভগবান শিবের কাছে প্রার্থনা করেন। শিব তার জটায় গঙ্গাকে ধারণ করেন এবং ধীরে ধীরে মর্ত্যে প্রবাহিত করেন। এইভাবে গঙ্গা মর্ত্যে আসে এবং ভগীরথের পূর্বপুরুষদের মুক্তি দেয়।


    এই কাহিনী থেকে বোঝা যায় যে, কঠোর পরিশ্রম ও ভক্তি দ্বারা যে কোনো অসাধ্য সাধন করা সম্ভব।



    続きを読む 一部表示
    12 分
  • অধ্যায় ০৮: সগর রাজার কাহিনী
    2024/11/24

    নবম স্কন্ধের অষ্টম অধ্যায়ে রাজা সগর এবং তাঁর বংশধরদের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। রাজা সগর ছিলেন ইক্ষ্বাকু বংশের একজন মহান রাজা। তিনি তাঁর দুই রাণী কেশিনী এবং সুমতিকে নিয়ে রাজত্ব করতেন। রাজা সগরের ৬০,০০০ পুত্র ছিল, যারা অত্যন্ত শক্তিশালী এবং গর্বিত ছিল। একবার রাজা সগর অশ্বমেধ যজ্ঞ শুরু করেন, কিন্তু ইন্দ্র দেবতা সেই যজ্ঞের ঘোড়া চুরি করে পাতালে লুকিয়ে রাখেন। রাজা সগরের পুত্ররা সেই ঘোড়া খুঁজতে পাতালে যান এবং সেখানে তাঁরা মহর্ষি কপিলের আশ্রমে ঘোড়াটিকে দেখতে পান। তাঁরা মহর্ষি কপিলকে চোর মনে করে তাঁকে অপমান করেন। মহর্ষি কপিলের ক্রোধে তাঁদের সকলেই ভস্মীভূত হন। এরপর রাজা সগরের পৌত্র অংসুমান মহর্ষি কপিলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং ঘোড়াটিকে উদ্ধার করেন। অংসুমান গঙ্গা নদীকে পৃথিবীতে নিয়ে আসার জন্য তপস্যা শুরু করেন, কিন্তু তিনি সফল হতে পারেননি। তাঁর পুত্র দিলীপও একই প্রচেষ্টা করেন, কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হন। অবশেষে দিলীপের পুত্র ভগীরথ কঠোর তপস্যার মাধ্যমে গঙ্গাকে পৃথিবীতে নিয়ে আসেন এবং তাঁর পূর্বপুরুষদের মুক্তি দেন। এই অধ্যায়ে মূলত রাজা সগর এবং তাঁর বংশধরদের কর্ম এবং তাঁদের ধর্মাচরণের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে।

    続きを読む 一部表示
    8 分
  • অধ্যায় ০৭: মান্ধাতার বংশধরগণ
    2024/11/24

    নবম স্কন্ধের সপ্তম অধ্যায়ে রাজা মন্দাতা এবং তাঁর বংশধরদের কাহিনী বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে। রাজা মন্দাতা ছিলেন ইক্ষ্বাকু বংশের একজন মহান রাজা। তাঁর পিতা যুবনাশ্ব ছিলেন একবার এক অদ্ভুত ঘটনার শিকার, যার ফলে তিনি নিজেই গর্ভধারণ করেন এবং মন্দাতা জন্মগ্রহণ করেন।


    মন্দাতা ছিলেন একজন শক্তিশালী এবং ধর্মপরায়ণ রাজা। তিনি তাঁর রাজত্বে ন্যায় ও ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর শাসনকালে প্রজারা সুখী ও সমৃদ্ধ ছিল। মন্দাতার তিন পুত্র ছিল - পুরুকুত্স, অম্বরীষ এবং মুচুকুন্দ।


    পুরুকুত্স ছিলেন একজন মহান যোদ্ধা এবং তিনি নাগরাজ বাসুকির কন্যা নর্মদাকে বিয়ে করেছিলেন। অম্বরীষ ছিলেন একজন ধর্মপরায়ণ রাজা এবং তিনি তাঁর ভক্তি ও ধর্মাচরণের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। মুচুকুন্দ ছিলেন একজন মহান যোদ্ধা এবং তিনি দেবতাদের সহায়তায় অসুরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন।


    এই অধ্যায়ে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে মন্দাতা তাঁর শাসনকালে অনেক যজ্ঞ করেছিলেন এবং দেবতাদের সন্তুষ্ট করেছিলেন। তাঁর বংশধররা বিভিন্ন রাজ্যে রাজত্ব করেছিলেন এবং তাঁদের কর্মের মাধ্যমে নিজেদের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন।


    続きを読む 一部表示
    6 分
  • অধ্যায় ০৬: শৌভরী মুনির অধঃপতন
    2024/11/22

    শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণের নবম স্কন্ধের ষষ্ঠ অধ্যায়ে রাজা পুরুকুত্স এবং তাঁর বংশধরদের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। এই অধ্যায়ে মূলত রাজা পুরুকুত্সের বংশের বিভিন্ন ঘটনা এবং তাঁদের কর্মের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। রাজা পুরুকুত্স ছিলেন ইক্ষ্বাকু বংশের একজন মহান রাজা। তাঁর শাসনকালে রাজ্য ছিল শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ। তিনি ছিলেন ধর্মপরায়ণ এবং প্রজাদের প্রতি অত্যন্ত যত্নশীল। তাঁর বংশধরদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন বিখ্যাত রাজা এবং ঋষি, যাঁরা তাঁদের কর্মের মাধ্যমে ধর্ম এবং ভক্তির প্রসার ঘটিয়েছিলেন। এই অধ্যায়ে রাজা পুরুকুত্সের বংশের বিভিন্ন ঘটনা এবং তাঁদের কর্মের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, যা থেকে আমরা ধর্ম, কর্ম এবং ভক্তির গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারি। আর আমরা জানতে পারি শৌভরী মুনির কাহিনী। শৌভরী মুনি ছিলেন এক মহান যোগী, যিনি বহু বছর ধরে যমুনা নদীর জলে তপস্যা করছিলেন। তাঁর তপস্যার শক্তি ছিল অসাধারণ এবং তিনি বহু অলৌকিক ক্ষমতা অর্জন করেছিলেন।

    একদিন গরুড়, ভগবান বিষ্ণুর বাহন, যমুনা নদীতে মাছ শিকার করতে এলে শৌভরী মুনি তাঁকে অভিশাপ দেন। এই অভিশাপের ফলে গরুড় যমুনা নদীতে আর মাছ শিকার করতে পারেননি।

    তপস্যার সময়, শৌভরী মুনি মাছেদের মিলন দেখে কামনায় আক্রান্ত হন। তিনি রাজা মন্ধাতার কাছে গিয়ে তাঁর পঞ্চাশ কন্যাকে বিবাহ করেন।

    বহু বছর ভোগবিলাসের পর, শৌভরী মুনি বুঝতে পারেন যে ইন্দ্রিয়সুখ ক্ষণস্থায়ী এবং তপস্যার পথেই প্রকৃত শান্তি পাওয়া যায়। তিনি পুনরায় তপস্যায় লিপ্ত হন এবং আত্মশুদ্ধির জন্য।

    続きを読む 一部表示
    13 分